নির্বাচন ঘনিয়ে আসতেই নতুন জোট গঠনে তৎপর জাতীয় পার্টি। যে জোটে থাকতে পারে কয়েকটি ইসলামি দল ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর পার্টি। এছাড়া, বিএনপির ব্যাপারেও অবস্থান বদলেছে দলটি।
বীতশ্রদ্ধ ভাব বেড়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতি। এটি জাতীয় পার্টির নয়া কৌশল নাকি বাস্তবতা সেটি তারাই ভালো জানে। তবে দলটি যে আগামী নির্বাচনেও জোটবদ্ধ থাকছে সে ধারণাও মিলছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বক্তব্যে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমাদের দলের তেমন একটা ভালো সম্পর্ক ছিল না। এখন অবশ্য সেটির অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। দীর্ঘদিন তারা ক্ষমতার বাইরে থাকাতে তারাও বুঝতে পেরেছে, তাদের ভুল ছিল কোথায়। তাদের আন্তরিকতা আমাদের ভাবাচ্ছে।
সম্প্রতি জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা চলছে অন্তত সাতটি দলের। এর মধ্যে আছে- ইসলামি আন্দোলন, মুহাম্মদ ইসহাকের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিস, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এবং এবি পার্টি।
জি এম, কাদের বলেন, কয়েকটা রাজনৈতিক দল আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছে। যখন সময় আসবে তখন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব আমরা।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ক’দিন আগে বৈঠক করেছেন জাতীয় পার্টির সাথে। আগের নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করলেও, এবার তার আস্থা নেই বিএনপিতে।
তিনি বলেন, এখন ক্ষমতাসীন দলের যা অবস্থা এতে অনেকের সঙ্গেই অনেকের জোট হতে পারে। তবে সরকার যদি মানুষের সমস্যাগুলো হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে পারত তাহলে এত কিছু করতে হতো না। নতুন নির্বাচনী জোটের পাশাপাশি বিরোধী দল হিসেবে শক্তি অর্জনেও তৎপর হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের হাতে গড়া দলটি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।